স্বদেশ ডেস্ক:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২১ জন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নাগরিক সুবিধা পেতে বিভিন্ন জনের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে পুনরায় ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করলেও প্রতিকার মিলছে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ দ্রুত পুনরায় ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের সুশীলা রানী হালদার বলেন, ‘আমি এখনো জীবিত আছি, কিন্তু ভোটার তালিকায় আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। বয়স্ক ভাতা পেতাম, তা দিয়ে ওষুধসহ অন্যান্য খরচ মেটাতাম। কিন্তু এই মৃত হওয়ার কারণে সেটিও বেশ কিছু দিন ধরে পাচ্ছি না।’
চরপাড়া গ্রামের আয়নাল হক বলেন, আমি এখনো জীবিত, আল্লাহপাক এখনো আমাকে তুলে নেননি। কিন্তু আমি জীবিত থাকা অবস্থায় আমাকে মৃত ঘোষণা করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছে। করোনার কারণে খুবই অভাবে পড়েছি। এনজিও এবং ব্যাংকে ঋণের আবেদন করতে পারিছি না। সবাই বলছে, আপনি মৃত। এ কারণে খুব ঝামেলার মধ্যে আছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে ধলি খাতুন বলেন, ‘আমি নাকি মৃত, তাই বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে পারছি না। আমি মৃত্যুবরণের আগেই কীভাবে মৃত হলাম বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে কখনো ভাবিনি। যারা এমনটি করেছে আমি তাদের বিচার দাবি করছি।’
আরেক ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা সঠিকভাবে যাচাই ও পর্যবেক্ষণ না করে লোকের কথায় জীবিতদের মৃত বানিয়ে দিয়েছেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোকাদ্দেছ আলী বলেন বলেন, মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সময় ভুলক্রমে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। তবে আমরা যাদের আবেদন পাচ্ছি দ্রুত সেটি সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আশা করি শিগগিরই বিষয়টি সংশোধন হয়ে যাবে।